মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় বন্যায় পুদিনাপাতা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

 



ইমন খান মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ


উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে মদিনাপাড়া গ্রামের চাষিরা জানান, বন্যার পানি আসতে শুরু করায় সোমবার রাত থেকে তারা পাতা তুলে নিচ্ছেন। কিন্তু সব পাতা একসঙ্গে বিক্রি নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। পানি থেকে তুলে উঁচু জমিতে রোপণ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান তারা।



ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ কেউ জমিতে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে বাঁধ কুলানো যাবে না বলে তাদের আশঙ্কা।

ওই গ্রামের চাষি সামসুদ্দিন মিয়া বলেন, তিনি এবার পাঁচ বিঘা জমিতে পুদিনাপাতার চাষ করেছিলেন।



“প্রায় পাঁচ হাজার কেজি পাতা হয়েছে। এর বর্তমান বাজার দর প্রায় ১০ লাখ টাকা। আকস্মিক বন্যায় মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে ১০ লাখ টাকার পাতা ডুবে গেল। জমিতে রাতে পানি উঠে হাঁটু পর্যন্ত হয়ে গেছে। তাই শ্রমিক দিয়ে পানির নিচ থেকে পাতা  উঠাচ্ছি।”



সোমবার রাত ৯টা থেকে ‘ব্যাপকভাবে’ পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে চাষিরা জানান।

এলাকার আরেক চাষি নূর মোহাম্মদ বলেন, “এই এলাকায় শুধু সামসু ভাই পুদিনাপাতা বুনেছেন পাঁচ বিঘায়। এছাড়া আরও অনেকে আছে যারা এই মুহূর্তে পুদিনা বিপদে আছে। মোটামুটি আমাদের এলাকাতে এই আকস্মিক পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের বহু টাকা লোকসান গুনতে হবে।



“পুদিনা উঠিয়ে উঁচু জমিতে রোপণ করার পরিকল্পনা করছেন চাষিরা। এছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। একসঙ্গে এত পাতা বিক্রি করতে গেলে দাম পাওয়া যাবে না। ”



উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাত হেক্টর জমিতে পুদিনাপাতার চাষ হয় বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কল্যাণকুমার সরকার।

তিনি বলেন, “পুদিনাপাতা একটি উচ্চমূল্যের ফসল। এগুলো উঁচু জমিতে চাষ করাই ভাল। বন্যায় পুদিনাপাতা তলিয়ে যাওয়ায় আমাদের কিছু করার নেই।”

Post a Comment

0 Comments