মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের চিকনীসার গ্রামের চিকনীসার বাইতুল আমান জামে মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটে। মসজিদের ইমাম মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাইলে তিনি বলেন গত ১৯/১০/২০২১ ইং তারিখ গভীর রাতে আনুমানিক ১ টা হতে ২:৩০ ঘটিকার সময়ে মসজিদে চুরি হয়। আমাদের মসজিদের নাম চিকনীসার বাইতুল আমান জামে মসজিদ। স্থাপিত হয় ০৩/০১/১৯৯৩। আমাদের মসজিদটি দুই তলা বিশিষ্ট। আমি মসজিদের ইমাম এর দায়িত্বে অনেক বছর যাবত বিশ্বাসের সাথে কর্মরত আছি। মসজিদ কর্তৃপক্ষ আমাকে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে থাকার জন্য অনুমতি দেন। আমি মসজিদের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে থাকি। প্রতিদিনের মতো মুসল্লিদের সাথে এশার নামাজ আদায় করে খাওয়া-দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ঘুমিয়ে যাই। ফজর নামাজের আজান দেওয়ার সময় উঠে দেখি মসজিদের প্রবেশের মেইন কেচি গেটের দুটি বড় তালা ভাঙ্গা, তখন ফজরের নামাজের সময় হওয়ায় মুসুল্লিরা মসজিদে চলে আসে। মুসল্লিরা এসে ভিতরে ঢুকে দেখে মসজিদের আইপিএস নেই, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। মসজিদে ব্যবহৃত ব্যাটারি যার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। মসজিদের বাহিরে ও ভিতরের উভয় দান বাক্সে ভেঙে টাকা নিয়ে যায়, দান বাক্স অগণিত টাকা ছিল। মসজিদে ব্যবহৃত আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মসজিদে ব্যবহৃত গামছা নিয়ে যায়। মুসল্লিদের মধ্যে একজন মোঃ আশিক এর কাছ থেকে জানা যায় মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিগণ কোনভাবেই চোর শনাক্ত করতে পারেনি, কে বা কারা মসজিদে এ চুরি করেছে। মসজিদের বর্তমান সভাপতি মোঃ সেন্টু মিয়া ও মসজিদ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করার জন্য। এর পর গত ২১/১০/২০২১ সালে আমি ও ইমাম সিরাজদিখান থানায় সাধারণ ডায়েরি করার হয়। এ বিষয়ে ইমাম সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা জানান। মুসল্লিরা জানান চুরির ঘটনায় মসজিদে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মসজিদের দান বাক্সে অগণিত টাকা ছিল। মসজিদের কিছু নির্মাণাধীন কাজ চলছে। এতে কিছু টাকা ঋণ ও আছে। মুসুল্লিদের দাবি মসজিদের চোর শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
0 Comments